প্রেমে বাধা নিজেকে শেষ করলো নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী

প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবার। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। বাড়ি রান্না ঘর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানা এলাকায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত নাবালিকা স্থানীয় পঁচেটগড় হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। পটাশপুর থানার চকবেলা গ্রামের বাসিন্দা সে। বাবা গোপালচন্দ্র বেরা পেশায় কৃষক। একই গ্রামের বাসিন্দা প্রেমিক যুবক। এগরা সারদ শশিভূষণ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় দু’জনর মধ্যে প্রায়শই দেখা হত। যার ফলে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক আরও গভীর হয়। মাঝেমধ্যেই তারা পরস্পরের সঙ্গে দেখা করত। বেশিদিন তা প্রতিবেশীদের নজর এড়ায়নি। ফলে দুই পরিবারও বিষয়টি জানতে পেরে যায়। জানা গিয়েছে, প্রেমিক যুবকূ সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে প্রথম থেকেই মত ছিল না নাবালিকার পরিবারের।

এসবের মাঝে রবিবার নাবালিকার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাড়ির রান্নাঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতি হয় সে। বিকালে প্রতিবেশীরা নাবালিকা ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পটাশপুর থানায় পুলিশ। পটাশপুর থানার পুলিশ এসে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *