দিঘা সমুদ্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এশিয়ান কোয়েল পাখি উদ্ধারে নুলিয়ারা,সাহসী যোদ্ধাদের সংবর্ধনা চিন্তাভাবনা প্রশাসনের

দিঘা: মাঝ সমুদ্রে কিছু একটা তলিয়ে যেতে নজরে আসে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মরত নুলিয়াদের। নজরে আসতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ তিন নুলিয়া। প্রায় ৫০০( পাঁচশ) মিটার দূরে সমুদ্রের ঢেউ উপেক্ষা করে গিয়ে দেখে একটি মাঝ বয়সী ঈগল সমুদ্রের জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে তারা। বুধবার সকালে এমনই ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো ওল্ড দিঘার এক নম্বর গেট সংলগ্ন পর্যটকেরা।উদ্ধার করা পাখি টিকে উদ্ধার করে পরিচর্চা করার পর খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। বনদপ্তরের আধিকারিকরা এসে আহত পাখি টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।


দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মরত নুলিয়া সৌমেন ঘোড়াই জানান, প্রতিদিনের মতো আজও আমরা যখন ওল্ড দিঘায় এক নম্বর ঘাটের কাছে আমরা পাঁচজন, তপন দাস,তন্ময় মাইতি,নিমাই ঢ্ল সৌমেন ঘোড়াই ও শিবনাথ সমন্ত নজদারি করছিলাম সেই সময় আমাদের নজরে আসে মাঝ সমুদ্রে কিছু একটা হাবুডুবু খাচ্ছে তৎক্ষনাৎ আমাদের তিনজন সহকর্মী সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে উদ্ধারে নামে। বেশ কিছু সময় ধরে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে লড়াই করে পাখিটিকে মাঝ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।


দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা কাঁথি মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য জানান, শুনে খুব ভালো লাগছে। সামনেই গ্রীষ্মকাল প্রচুর পর্যটকের ভীড় জমবে তাদের সামনেও এই ধরনের পশু প্রেমের বিকাশ ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। যারা এই ধরনের কাজে করেছে তাদের আমরা প্রসংশাপত্র সহ অন্যান্য সাহায্য দিয়ে তাদের উৎসাহিত করবো।

সকলের মধ্যে সচেতনতার বৃদ্ধি ঘটুক এটাই চাইবো। সংবাদ মাধ্যমের কাছে আমার আবেদন থাকবে এই ধরনের সাংবাদ সকলের সামনে তুলে ধরার। তাহলে দেশ, রাজ্য ও সমাজের সচেতন ঘটবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *