দীপাবলীর আগে খাদিকুলে নেই বাজী তৈরির চেনা ব্যস্ততা।
◆রাজীব নন্দী,এগরা,পূর্ব মেদিনীপুর
এগরার খাদিকুলে দীপাবলিতে শোনা যাবেনা বাজির আওয়াজ।দীপাবলীর আগে খাদিকুলে নেই বাজী তৈরির চেনা ব্যস্ততা।
এগরার খাদিকুলবাসীরা এখনো বাজির আওয়াজ শুনলেই ভয়ে শিউরে ওঠে। প্রতিবছর পূজোর সময় কালী পুজোয় বাজি কারখানায় চেনা ব্যস্ততা দেখা যেত। সেই খাদিকুল এখন নিরব। ১৬ই মে ঘটে যাওয়া সেই অভিশপ্ত দিনের কথা এখনো ভাবলে গা শিউরে ওঠে তাদের। ভানু বাগের সেই বাজি কারখানা এখন নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখনো সেদিকে চোখ গেলে ভয়ে আতকে ওঠে মানুষজন। রাত হলে সেদিকে মানুষজন এখনো পা বাড়ায় না।
যে সব পরিবার বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ইতিমধ্যেই তারা সরকারি সাহায্য ও চাকরি পেয়েছেন। বাজি কারখানায় কর্মরত কর্মীরা তারা কর্মহীন হয়ে আছেন। বাজি কারখানার কর্মীরা বদল করেছেন তাদের পেশা। কেউ মাঠে কাজ করছেন কেউবা বাইরে চলে গেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন গ্রীন ক্যাকার, ক্লাসটার কারখানা তৈরি করবেন সেই আশায় দিন গুনছেন তারা ,কিছু জন বলছেন কোন ভাবেই আর বাজিকারখানা যাতে এখানে না হয় অন্য কোন বিকল্প কারখানা সরকার করে দিলেই বাজি কারখানার শ্রমিকরা নতুন কর্মসংস্থানের দিশা পাবে।
আসছি, দীপাবলি আলোর উৎসব। যে খাদিকুল সমস্ত পুজোয় আনন্দ অনুষ্ঠানে বাজির আলোকের ঝর্ণায় ভরিয়ে দিত তারাই আজ অন্ধকারে। বাস্তবের নির্মম পরিহাসে আর আজ কর্মহীন। তবুও তারা নিশ্চিন্ত , বাজির আওয়াজ তারা আর শুনতে চায় না। তারা বাঁচতে চায় আশার আলো দেখতে চায় নতুন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে।