এগরার পানিপারুল হাই স্কুলের প্রাক্তনী অনিন্দ্য দাস
ভাটনগর পুরস্কার পাওয়ায় খুশির হাওয়া। এ যেন সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী। সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দেশের এক গৌরবের স্বাক্ষর রাখলেন এগরার দুপদার ছেলে।
ভারতে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ প্রত্যেক বছর দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার দেয়।
এ বছর ভাটনগর পুরস্কার পেলেন চারজন বাঙালি। তার মধ্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা বিধানসভার দুবদার ছেলে অনিন্দ্য দাস । তার এই সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী সহ পানিপারুল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা। পানিপারুল মুক্তেশ্বর হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে মাধ্যমিক পাস করেন পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে বনমালী চট্টা হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পদার্থবিদ্যা অনিন্দ্যবাবু বরাবরই প্রিয় ছিলো। তিনি বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির কলেজ থেকে ফিজিক্স এ বি এ পাস করেন। তারপরে তিনি বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে উচ্চশিক্ষার জন্য যান। সেখানেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমএসসি এবং পিএইচডি করেন। তারপর ২০০৯ সালে ইজরায়েলে পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য যান। ২০১৩ সালে সেখান থেকে ফিরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পদার্থবিদ্যা বিভাগে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে যোগ দেন বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানেরই পদার্থবিদ্যা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোয়ান্টাম ট্রান্সপোর্ট ল্যাবরেটরি প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটের পদে রয়েছেন ৪৪ বছর বয়সি অনিন্দ্য দাস। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পদার্থবিদ্যার মৌলিক গবেষণার কাজ করে চলেছেন । তার পাঠানো অডিও বার্তা পেয়ে খুশি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা । তিনি তার অডিও বার্তার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ বার্তা দেন ।
বিধায়ক তথা পানিবারুল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ কুমার মাইতি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের এই অসাধারণ সাফল্যে খুবই খুশি। তিনি তার সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র অনিন্দ দাস কে। ভাটনগর পুরস্কার এবার চার বাঙালি বিজ্ঞানী পাচ্ছেন।
এই তালিকায় রয়েছেন—রসায়নে আইআইটি বম্বের দেবব্রত মাইতি, চিকিৎসায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়, পদার্থবিদ্যায় বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অনিন্দ্য দাস এবং মুম্বই টিআইএফআরের বাসুদেব দাশগুপ্ত। সারা ভারতে মোট ১২ জন এই সম্মান পাচ্ছেন। তার মধ্যে চারজনই বাঙালি। পুরস্কারে থাকে একটি প্রশংসাপত্র, একটি ফলক এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা।