পেন্সিলের শিসে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দুর্গা বানিয়ে তাক লাগালো মাইক্রো আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ কর। একদম ঠিক শুনছেন। দেবিপক্ষে সূচনায় মায়ের প্রতি মাইক্রো আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ করের এক শ্রদ্ধার্ঘ্য। পশ্চিম মেদিনীপুরের মাইক্রো আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ কর তিনি পেশায় একজন বাইক মেকানিক। তিনি গতবারও পেন্সিলের শিসে দূর্গা বানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড অর্জন করেছিলেন এবার তার থেকেও ছোট দুর্গা বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি। ৪.৫ মিলিমিটারের দশভুজার মূর্তি বানিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দুর্গা বানাতে 16 ঘন্টা সময় লেগেছে কেশপুরের যুবকের। পেন্সিলের ওপর কার্ভিন করাটা কঠিন একটি কাজ তারপর দশভুজা দুর্গা কাজটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল প্রসেনজিতের কাছে বাইক মেকানিক হওয়ায় তিনি কাজ করতেন রাত ১১ টার পর রাতের বেলা নিখুঁত এই মাইক্রো আর্টিস্ট এর কাজ করা খুবই কষ্টকর। অনেকগুলো রাত জাগার পর তার এই সাফল্য। এ যেন অসম্ভবের মাঝে সম্ভব শব্দ বন্ধকে প্রস্ফুটিত করে তোলা। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে যেখানে থিমের বাহারের প্রতিযোগিতা অন্যদিকে প্রতিমায় বড় দুর্গা ও সুসজ্জিত দুর্গা বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে ঠিক সেই সময় ক্ষুদ্র দুর্গা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের যুবক প্রসেনজিৎ কর।
চন্দ্রযান এর লেন্ডার বিক্রম এর অবয়ব বাতিল মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স জিনিস দিয়ে বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো মাইক্রো আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ কর।
। মাইক্রো আর্টিস্ট প্রসেনজিৎ কর বিভিন্ন সাফল্যকে তুলে ধরেন মাইক্রো আর্ট এর মাধ্যমে।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে মাইক্রো আর্টিস্ট এর কাজ করে চলেছেন প্রসেনজিৎ। জিতে নিয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার। কেশপুরের আনন্দপুর থানা অঞ্চলে বাবার একটি মোটরসাইকেল সারাই এর দোকান রয়েছে। যেখানে বসেই এই শিল্প গড়েন তিনি। এর আগেও পেন্সিলের শীষে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন মানুষের মূর্তি। কখনো তিনি এঁকেছেন মাদারটেরেজা কখনো আবার বিরাট কোহলি।
এমনকি পাখির পালকের উপর তিনি এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। পৃথিবীর ছোট দুর্গা পেন্সিলের শিসে বানিয়ে দেশবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।